রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
বরিশাল প্রতিনিধি : দুই দফা উদ্বোধনের পরও এগোচ্ছে না দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রামের বাড়ি লামচরির একটি সড়কের সংস্কারকাজ। ফলে চরম ভোগান্তিতে দিন পার করতে হচ্ছে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ লামচরি গ্রামের মানুষদের।
অপরদিকে বর্ষার আগে সড়কের সংস্কারকাজ শেষ না হলে বিগত বছর থেকে এবার ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, নদী ভাঙন আর দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজার থেকে লামচরি যাওয়ার একমাত্র সড়কটি কয়েক বছর ধরেই ভাঙাচোরা। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে তালতলী বাজার থেকে লামচরিহাট (গণি মেম্বারের বাজার) পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আওতাধীন তালতলী বাজার থেকে গণি মেম্বারের বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের সংস্কারের অভাবে কয়েক বছর আগে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। তবে কয়েক মাস আগে সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়েছে এলজিইডি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল জানান, সড়কটির সংস্কারকাজ হওয়ার কথা দীর্ঘদিন ধরেই শুনছি। এরপর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু সড়ক সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের কয়েকদিন পরেই সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় এ সড়কের সংস্কার (পুনর্বাসন) কাজের উদ্বোধন করেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। তবে এ উদ্বোধনের পর বর্তমানে কোথাও কাউকে সংস্কারকাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
সংস্কারের কোনো অগ্রগতি বাস্তবে দৃশ্যমান নয় বলে জানিয়ে লামছড়ি গ্রামের বাসিন্দা রায়হান হোসেন বলেন, বর্তমানে সড়ক এতই ভাঙাচোরা যে বাধ্য হয়ে নদীপথে চলাচল করছেন অনেকেই। তার ওপর দুই দফা উদ্বোধনের পর কাজ শুরুর নামে কিছু জায়গা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। শুধু স্থানীয়রা নয়, যারা দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের বাড়ি ও লাইব্রেরিতে আসেন তাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
থ্রি হুইলার চালক জালাল জানান, এ এলাকার যারা শহরে চাকরি করেন তারা দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা এড়াতে ছুটির দিন ছাড়া বাড়িতে আসেন না। আর এবারে বর্ষা মৌসুম আসার আগে সড়কটি যদি সংস্কার করা না হয় তাহলে এবার আর দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষার্থী মিজান মাহমুদ বলেন, ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে এখন আর গাড়িতে যাতায়াত করা যায় না, তাই প্রয়োজন হলে হেঁটে তালতলী গিয়ে গাড়িতে ওঠে কলেজে যাই।যদিও দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলার প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম।